কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে অফিসে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়া সেলিম তালুকদার রমজান মারা গেছেন। ১৫ দিন ঢাকার ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটিতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহতের বাবা সুলতান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সেলিম ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার টিএনটি এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে। বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে দুই বছর আগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। সেলিম নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং এন্ড ডায়িং মিলস লিমিটেড-এর সহকারী মার্চচেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন।
নিহতের পরিবার জানায়, সুলতান তালুকদারের তিন সন্তান। তাদের মধ্যে সেলিম ছিলেন মেজো। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন সেলিম। ১৫ দিন গুলির ক্ষত নিয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্য ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মরদেহ বাড্ডা লিংক রোডের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে সেলিমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাত রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ নলছিটির বাড়িতে আনা হয়। আজ সকাল ১০টায় বাড়ির সামনে জানাজা শেষে সেলিমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ।
মারা যাওয়া সেলিমের বাবা সুলতান তালুকদার জানান, গত ১৮ জুলাই সকালে বাসা থেকে সেলিম অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছান তিনি। সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হওয়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন তিনি। এসময় সেলিমের মাথা, বুক ও পিঠে গুলি লাগে। চার হাসপাতাল ঘুরে তাকে ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা যান তিনি।
নলছিটি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মামুন মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বৃষ্টির মধ্যেই বাড়ির সামনে সেলিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’