বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জ শহরে সংঘর্ষে রিপন শীল (২৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি জেলা শহরের অনন্তপুর এলাকার রতন শীলের ছেলে। হামলা ও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও অন্তত শতাধিক।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা সদরের টাউন হল রোডে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে রিপন শীল নিহত হন।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মুমিন উদ্দিন রিপন শীলের মত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সংঘর্ষ ও ধাওয়ার-পাল্টা ধাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে বিকেল সোয়া ৫টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা জেলা শহরের টাউন হল রোডে অবস্থান করেন। সে সময় তারা হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খানের বাড়ি ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
সেসময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সাবেক এমপি মজিদ খানের বাসায় আগুন দেয়। একই সঙ্গে পাশের আরও পাঁচটি দোকানে আগুন দেয়।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় আন্দোলনকারী ও টাউন হল রোডে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। সে সময় উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে শহরের সবুজবাগ এলাকায় সরকারি একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হন।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য অথবা দমকল বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রশাসন অথবা জনপ্রতিনিধিদের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।