পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে নিঃস্ব সিয়ামের পরিবার। রাতে ফোন এলো সিয়ামের বুকে গুলি লেগেছে। খবর পেয়ে কৃষক বাবা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন। পরক্ষণে ফোন কলে খবর এলো সিয়াম আর নেই।
সিয়ামের পরিবার জানায়, চাঁদপুর সদরের মৈশাদীর ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ হামানকর্দীর সর্দার বাড়ির বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী সিয়াম।
সিয়াম বাবা কৃষক সোহাগ সর্দার ও মা গৃহিণী জেসমিন বেগমের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে। পরিবারে সিয়ামের বড় বোন জান্নাত আক্তার এবং ছোট বোন হাসী আক্তার স্বামীর বাড়িতে থেকে নিহত ভাইয়ের খবর পেয়ে বাবার বাড়িতে এসে বার বার শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন।
বড় বোন জান্নাত আক্তার বলেন, গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় মিরপুর-১০ এ আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলি হয়। সিয়াম হোটেলে শেষে নিজের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। পথে তার চোখ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথার পিছন দিয়ে বের হয়। পরে গুলিবিদ্ধ সিয়ামকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
সিয়ামের মা জেসমিন বেগম বলেন, ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সিয়ামকে চাঁদপুরের সদরের মৈশাদীতে আনা হলে সর্বস্তরের লোকজন তার দাফন কাফন সম্পন্ন করেন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবার এই মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের মৈশাদীর ৬নং ইউপি সদস্য শরিফ সর্দার বলেন, নিহত সিয়ামের পরিবারের পাশে সর্বাত্মকভাবে থাকার আশাবাদ করছি। সিয়ামের মতো করে যেনো আর কোন মা তার সন্তানহারা না হয়। একই সাথে সিয়ামসহ প্রতিটি নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।