কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খানের তিন তলা বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার দেওয়া আগুনে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে নগরীর অশোকতলা এলাকার ওই বাড়িটি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়ে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জনই কিশোর।
নিহতরা হলেন- নগরীর অশোকতলা এলাকার আশিক (১৪), শাকিল (১৪), শাওন (১২), মাহফুজুর রহমান (২২), রনি (১৬) ও মহিন (১৭)। আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন সময় জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অশোকতলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে কয়েকজন বাড়িটির তিনতলায় উঠে পড়েন। এ সময় অন্যরা বাড়িটির নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় বাড়িটির তিন তলায় অবস্থানকারীরা ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ এবং আগুনে পুড়ে মারা যান। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, গতকাল বিকেলে কুমিল্লা নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকায় নাফিজুল আলম সামি (১৮) এবং চৌদ্দগ্রামে জামশেদ (২০) নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কমিটির সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম রনির বাসায় ছিলেন নাফিজুল আলম। রনি অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেলে একদল ব্যক্তি তার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় সামিকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন তারা। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়ি লুটপাট করে।
কুমিল্লায় হামলা ও সংঘর্ষের পর গতকাল সোমবার বিকেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৫ জন আজ সকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জেলার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।