বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বাড়িটির ভেতর থেকে টাকা ও পুলিশের পোষাক উদ্ধার করেছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাশিক মির্জা পুলিশের ইউনিফর্ম নিজেদের ক্যাডারদের পরিয়ে নানা ধরণের অপকর্ম করতেন।
আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। গতকাল সোমবার থেকেই তিনি ও তার পরিবার নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এই খবরে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষজন। পরে বিক্ষুব্দ জনতা একত্রিত হয়ে আবদুল কাদের মির্জার রাজাপুর গ্রামের বাসভবনে দিকে রওনা হন। এসময় আবদুল কাদের মির্জা বাড়িতে ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ির দিকে আসছে জানতে পেরে তিনি স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা আবদুল কাদের মির্জার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এসময় বাড়ির ভেতর থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা এবং পুলিশের ইউনিফর্ম পাওয়া যায়। পরে আব্দুল কাদের মির্জার বাড়িতে আগুন দেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাশিক মির্জা পুলিশের এসব ইউনিফর্ম তাদের লালিত ক্যাডারদের পরিয়ে নানা ধরণের অপকর্ম করাতেন। তার কথার বাইরে কেউ গেলেই তাকে ধরে নানাভাবে নির্যাতন করতেন।
কোম্পনীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা আবদুল কাদের মির্জার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। তার বাসা থেকে টাকা ও পুলিশের পোষাক পাওয়ার বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি।’