সারা বাংলা

স্বাভাবিকে ফির‌তে শুরু করে‌ছে বগুড়ার জনজীবন 

দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কার্যত অচল হ‌য়ে প‌ড়েছি‌লো বগুড়া। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফির‌তে শুরু করে বগুড়ার জনজীবন।

বুধবার (৭ আগস্ট) থে‌কে চির‌চেনা রূ‌পে ফি‌রে‌ছে বগুড়া। সকল‌ শ্রেণী পেশার মানুষ‌দের কর্ম ব‌্যস্ততা, শহ‌রের মধ্যে জনসাধার‌ণের অবাধ চলাচল কর‌তে দেখা গে‌ছে। এছাড়া বগুড়া থে‌কে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল প্রকার যানবাহন সকাল থে‌কেই চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও স্ব‌স্তি ফি‌রে এসে‌ছে ব‌্যবসায়‌ী‌দের মধ্যেও। 

শহ‌রের সাতমাথায় কথা হয় পথচারী সোহা‌গের সা‌থে। তি‌নি ব‌লেন, গত ক‌য়েক‌দিন উৎকণ্ঠার ম‌ধ্যে দিন পার কর‌তে হ‌য়ে‌ছে। এখন সেই উৎকণ্ঠা নেই। বাজা‌রে যাচ্ছি কিছু কেনাকাটা কর‌তে। 

শাজাহানপুর উপ‌জেলার ব্যবসায়ী একরামুল হ‌ক ব‌লেন, আমি চু‌ড়িপ‌ট্টি যাচ্ছি দোকা‌নের জন‌্য মালপত্র কিন‌তে। আন্দোলন এবং কার‌ফিউয়ের কার‌ণে বেশ কিছুদিন মালামাল না আনতে পারায় সংকট দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমি দোক‌া‌নে মাল উঠা‌নোর জন‌্য চু‌ড়িপট্টি যাচ্ছি। 

ছে‌লে‌কে স্কুল থে‌কে ফির‌ছি‌লেন নুসরাত জাহান। তি‌নি ব‌লেন, আমার ছেলে প্রথম‌ শ্রেণীর ছাত্র। তার স্কুল গতকাল মঙ্গলবার খুলেছে। আজ স্কুল শেষ করে তাকে নিয়ে বাসায় ফিরছি। 

বগুড়ার চি‌নিপাতা দইঘ‌রের পরিচালক মুক্তার আলী বলেন, কার‌ফিউয়ের প্রথম দি‌কে আমা‌দের লোকসান গুন‌তে হ‌য়ে‌ছে। পরবর্তী‌তে উৎকণ্ঠার ম‌ধ্যে আমা‌দের ব‌্যবসা প‌রিচ‌ালনা কর‌তে হ‌য়ে‌ছে। এখন লোক সমাগম বাড়‌ছে। আমা‌দের ব‌্যবসাও ঠিকঠাক চল‌বে। 

বগুড়া‌ মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ব‌লেন, বগুড়ার আভ্যন্তরীণ সড়কসহ সকল সড়‌কে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল কর‌ছে। সকাল থে‌কেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সকল রু‌টে দূরপাল্লার যানবাহন ছে‌ড়ে গে‌ছে। 

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী ব‌লেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খু‌লে‌ছে। গতকালের চে‌য়ে আজ শিক্ষার্থী‌দের উপস্থিতি বে‌শি।