ক্যাম্পাস

চাঁদাবাজকে ছাড়াতে এসে যুবদল নেতা আটক

পুরান ঢাকার লালকুঠি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে ওই চাঁদাবাজকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হলে তাকে ছাড়াতে আসেন স্থানীয় যুবদল নেতা পরিচয়ধারী হাসান নামে এক ব্যক্তি। পরে তাকেও আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তাকে ছাড়াতে আসা হাসান নিজেকে চাঁদপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাটের এক ব্যবসায়ী সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের এক চাঁদাবাজের খোঁজ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গেলে চাঁদাবাজরা তাদের ঘিরে ধরেন। পরে তারা সেখান থেকে সরে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানান। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে একজনকে আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করছিলাম। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ঘিরে ধরে। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইদের জানালে তারা এক চাঁদাবাজকে ধরে নিয়ে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহান প্রামাণিক বলেন, সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তক্রমে কিছু শিক্ষার্থী সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছিল। তাদের আটকে রেখেছিল কিছু চাঁদাবাজ। জানতে পেরে আমরা তাদের নিয়ে উদ্ধার করি। সেই সঙ্গে এক চাঁদাবাজকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি। চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসেন আরেক ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চাঁদাবাজের পরিচিত ও যুবদল নেতা বলে দাবি করেন। পরবর্তীতে উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।