ইসরায়েল হামাসের নতুন নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে সদ্য নিযুক্ত সিনওয়ারকে গত ৭ বছরের অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে মনে করা হয়। খবর আরব নিউজের।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার এক সামরিক ঘাঁটিতে বলেন, ‘ইসরায়েল নিজের রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা আক্রমণাত্বক ও রক্ষণাত্মক উভয়ভাবেই প্রস্তুত।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি সিনাওয়ারকে খুঁজে বের করে তাকে হত্যা এবং হামাসকে নতুন নেতা খুঁজতে বাধ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
সিনাওয়ার ২০১৭ সাল থেকে হামাস নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। ওই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস।
এরপরপই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গাজায় গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। নয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই আগ্রাসনে ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে, গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইসরায়েল তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে এর কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস। তবে এই হামলার দায় স্বীকার কিংবা অস্বীকার করেনি তেল আবিব।
এর পরই হামাসের রাজনৈতিক শাখার নতুন প্রধান নিযুক্ত হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, হামাস প্রধান হিসেবে সিনওয়ারের নির্বাচন শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে যে, সংগঠনটি ‘প্রতিরোধের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে’।
হামাসের লেবানিজ মিত্র হিজবুল্লাহ সিনওয়ারের নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা একে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, হামাসের শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে শত্রুরা তাদের উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে হামাস ঐক্যবদ্ধ।