পঞ্চগড়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নামীয় আসামি ১১৪ জনসহ অজ্ঞাত রয়েছেন আরও ৮০০ জন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহমেদ।
পুরাতন পঞ্চগড় এলাকার মৃত এমদাদুল হকের ছেলে আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় পঞ্চগড় পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসনাত মো. হামিদুর রহমানকে।
এর আগে গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা বসে সাংগঠনিক আলোচনা করছিলেন। এ সময় কাউন্সিলর হাসনাত, আশরাফুল ইসলাম ও হাড়িভাসা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরের নেতৃত্বে ৭০০-৮০০ জন ব্যক্তি বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করেন। এতে কার্যালয়ের ভেতরে জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সাবেক স্পিকার ও আইনমন্ত্রী মরহুম মির্জা গোলাম হাফিজের ছবি দেওয়াল থেকে নামিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও টিভি, চেয়ার, টেবিল, সোফাসেট, বাল্ব, কেঁচি গেইট, আলমিরা, ফ্যানসহ আরও বিভিন্ন জিনিসপত্র ভেঙে ও পুড়িয়ে দিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহমেদ বলেন, এসআই মনিরুজ্জামানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কাগজ হাতে না পাওয়ায় কাজ শুরু হয়নি।