জাতীয়

প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী আন্দোলন। হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

প্রবীণ শ্রমিকনেতা আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন। বক্তব্য রাখেন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রুহুল আমিন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, রি-রোলিং ও স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, টেক্সটাইল শ্রমিক নেতা জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ রিমেল প্রমুখ।

শ্রমিকনেতারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কত মানুষ হতাহত হয়েছে, তার সঠিক হিসাব আজ পর্যন্ত আমরা জানি না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নিহতের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ শ’ থেকে ছয় শ’ বা আরো বেশি। আহতের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। গণঅভ্যুত্থানের এক দিন আগেই সাড়ে তিন শ’র বেশি মানুষ নিহত হলেও স্বৈরাচারী সরকার মাত্র ১৫০ জন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছিল। গণঅভ্যুত্থানের মুখে বিদায়ী স্বৈরাচার সরকারের সহচর প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে হতাহতদের তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষণ করা না হওয়ায় অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্তের তথ্য আড়াল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

সরকার নির্দেশনা দিলেও এখনো গ্রেপ্তার শ্রমজীবীদের সবাই মুক্তি পায়নি। অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, প্রতিটি হতাহতের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ, আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান শ্রমিকনেতারা।