বাবা মায়েরা চান সন্তান তাদের সব কথা শুনুক, বুঝুক এবং মেনে নিক। কিন্তু এই চাওয়া পুরণ হওয়া প্রায় অসম্ভব। শিশুর নিজের চিন্তা, চেতনা, ধ্যান, ধারণা আছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছন, শিশু অবাধ্য হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে।
অধুনা জীবন-যাপনে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। বাবা-মায়েরা অনেক সময় টিভি-মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই সময়ে শিশু বাবা মায়ের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হলে অনেক সময় অতিরিক্ত রাগের প্রকাশ করে। বাবা মায়েরা শিশুকে ব্যস্ত রাখার জন্য টিভি বা মোবাইল দিয়ে রাখেন। এগুলোর অধিক ব্যবহারের ফলে শিশুর নার্ভ উত্তেজিত হয়। ফলে তাকে কোনো কথা বললে সে মানতে চায় না বরং উল্টো উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
অনেক সময় বাবা মায়ের নির্দেশনা শিশুর কাছে অস্পষ্ট মনে হয়। ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারে না যে তার কি করা উচিত। আবার ক্লান্তি, অবসাদ বা হতাশা থেকে শিশু অনেক সময় চুপচাপ হয়ে যায়। সে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এই অবস্থায় শিশু বাবা মায়ের কথা উপেক্ষা করতে পারে। সুতরাং শিশু অবাধ্য কেন হচ্ছে তার কারণ বোঝা উচিত এবং সেই অনুযায়ী শিশুর সঙ্গে আচরণ করা উচিত।
শারীরিক সমস্যা কিংবা মানসিক চাপের কারণেও শিশু নেতিবাচক আচরণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশুর চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। তবে শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাবা মায়ের ভালোবাসা, সময় আর মনোযোগ।
ইউনিসেফের পরামর্শ, সন্তানের সঙ্গে কথা বলার জন্য আপনার দৈনন্দিন রুটিন থেকে কমপক্ষে ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করুন।
শিশুর সঙ্গে একসঙ্গে ঘরের কাজ করতে পারেন। শিশুর কোনো আচরণে বিরক্ত হলে তাকে বকাবকি করবেন না। বরং এমন কিছু করতে পারেন যাতে সে আনন্দ খুঁজে পায়।