উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় একটি বৃহদাকার আবর্জনার স্তূপ ধসে পড়ার ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে ভারি বৃষ্টির মধ্যে আবর্জনার বিশাল একটি স্তূপ ধসে পড়ে। এতে আশপাশের কয়েকটি বাড়ি চাপা পড়ে। খবর রয়টার্সের।
কিতেজি নামে পরিচিত আবর্জনার স্তূপটি বহু বছর ধরেই রাজধানীর বর্জ্য ফেলার একমাত্র জায়গা হিসেবে পরিচিত। কাম্পালায় বেশ কিছুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।
শুক্রবার রাতে কিতেজি নামের আবর্জনার স্তূপটি ধসে পড়ে। এতে মাটি চাপা পড়ে নিকটবর্তী এলাকার বহু ঘর-বাড়িসহ গবাদি পশু। ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় অনেক বাসিন্দার। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো নিখোঁজের সংখ্যা অগণিত। বিগত কয়েকদিন ধরে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে আনছেন মরদেহ।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র প্যাট্রিক অনইয়াঙ্গো বলেন, কেউ আটকা পড়েছে কিনা, তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আরও অনেকে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। রেডক্রস ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
আনুমানিক ৪০ লাখ লোকের বাসস্থান কাম্পালার মেয়র এরিয়াস লুকওয়াগো সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, এটি ছিল এমন ‘একটি বিপর্যয় (যেটি) ঘটতে বাধ্য’, এবং ‘অনেক মানুষ, আরো অনেকেই এখানে সমাহিত হয়ে থাকতে পারেন’।
প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনি কীভাবে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক স্তূপের’ কাছাকাছি মানুষকে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এটিকে ‘বিপজ্জনক অঞ্চল’ বলে অভিহিত করে লোকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।