জাতীয়

ঢাকায় বেড়েছে গাড়ির চাপ, কিছু স্থানে যানজট

রাজধানীর ঢাকায় বেড়েছে গাড়ির চাপ। সেই সঙ্গে কিছু জায়গায় যানজটও লক্ষ্য করা গেছে। গত কয়েকদিনে ট্রাফিকশূন্য রাস্তায় যানজট ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে, এগিয়ে আসেন দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা দায়িত্ব তুলে নেয় ট্রাফিকের। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তাদের এই কাজে কৃতজ্ঞতা জানান নগরবাসী। এতে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরে। তবে, সোমবার থেকে ট্রাফিক পুলিশ কাজে ফেরায় কষ্ট কমেছে শিক্ষার্থীদের।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। প্রায় এক সপ্তাহ পর তারা রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যোগ দিলেন। সঙ্গে ছিলেন ছাত্র-ছাত্রীরাও। ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন তারা।

এদিন নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে চালকরা নিয়ম মেনে, লেন মেনে গাড়ি চালিয়েছেন। বিষয়টিকে দারুণ বলছেন নগরবাসী। গতকাল রোববার থেকেই রাজধানীতে যানজট বেড়ে গিয়েছিল ব্যাপকহারে। আজও বেশ কয়েক জায়গায় যানজট তৈরি হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেছেন, একটা ছন্দপতন হয়েছিল। আজ আবার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এ সপ্তাহের মধ্যে সকলেই যোগ দেবেন বলে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, আজ একটা আইস ব্রেকিং হলো। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নেমেছেন। এর মধ্যে মিরপুরের ১৫টি স্থানে, গুলশানে ৯টি, উত্তরায় ৫ স্থানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

রাজধানীতে এ সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাফিক পুলিশ পুরোপুরি কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করেন মুনিবুর রহমান।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা যখন রাস্তায় নেমেছেন, তখন তাদের আলিঙ্গন করে স্বাগত জানায় ছাত্র-জনতা। পুলিশ সদস্যদের রজনীগন্ধা ফুল, বিস্কুট, পানিসহ বিভিন্ন খাবার সরবরাহ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এসব ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর, আগারগাঁও, উড়োজাহাজ ক্রসিং, বিজয় সরণি সিগন্যাল, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, মিন্টো রোড, পুরো রমনার অলিগলি, কাকরাইল, মৎস্য ভবন এলাকা, প্রেসক্লাব, পল্টন, নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে। 

যানবাহনচালক ও স্থানীয়রা জানায়, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সড়কে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে তাদের মধ্যে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের আস্থা যত তাড়াতাড়ি ফিরবে, ততই সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। এর আগে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা যেভাবে সড়কে ট্রাফিকের ভূমিকা পালন করেছেন, সেটাও অনেক ভালো উদ্যোগ ছিল। হানাহানি ও সহিংসতা নয়, দেশে শান্তি চান বলেও জানান তারা।

সিএনজিচালক রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা যেভাবে খেয়ে না খেয়ে সড়কের হাল ধরেছেন, তাতে আমি দারুণ খুশি। তা না হলে ঢাকার যানজট মারাত্মক অবস্থা হতো।