আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে হামলা না করতে পশ্চিমাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান ইরানের

ইসরায়েলে হামলা থেকে পিছু হটতে বলার পশ্চিমা আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তেহরান জানিয়েছে, তাদের দেশে অতিথি হয়ে আসা হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যার জবাব দেওয়ার অধিকার ইরানিদের রয়েছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে পশ্চিমা দেশগুলোর সংযমের আহ্বানের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) তিনি বলেছেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অপরাধের ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেনি। অথচ এখন নির্লজ্জভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ না নিতে ইরানকে আহবান জানাচ্ছে।

গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে অতিথিশালায় নিহত হোন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ইরান এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠিন বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তেহরানের অভিযোগ, ইসরায়েল ইরানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে হানিয়া হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে হত্যা করে ইসরায়েল। ১১ মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ঘিরে এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে হানিয়া ও ফুয়াদ হত্যায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরো চড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা গত সোমবার ইরানকে ‘মাথা ঠাণ্ডা’ করতে অনুরোধ জানায়।

ইরান ও তার মিত্ররা চলতি সপ্তাহেই আক্রমণ চালাতে পারে বলে সাবধান করেছে হোয়াইট হাউস। ইসরায়েলও একই মূল্যায়ন করেছে বলে জানায় হোয়াইট হাউস। ইরানের আক্রমণ থেকে মিত্র দেশ ইসরায়েলকে রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে ইরান ও তার মিত্রদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। এ ব্যাপারে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে ফোন করে অনুরোধও করেন স্টারমার ও শোলজ।

তবে জবাবে পেজেশকিয়ান রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, পাল্টা জবাব দেওয়াটাই অপরাধ বন্ধ করার পথ এবং এই জবাব দেওয়া ইরানের ‘আইনগত অধিকার’। 

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। স্বীকৃত অধিকার প্রয়োগের জন্য ইরানের কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই।