সারা বাংলা

সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার

সুনামগঞ্জে চলাচলের অনুপযোগী একটি রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।ি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার সঙ্গে উপজেলা সদর ও নরসিংপুর ইউনিয়ণ হয়ে মানুষজনদের যোগাযোগের প্রধান সড়ক বৃটিশ-বাংলাবাজার সড়ক। চলাচলে জন্যে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দিয়ে লোকজনকে যাতায়াত করতে হয়। 

এ অবস্থার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন স্থানীয় মোবারক হোসেন। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হন নিজেদের পরিবর্তন নিজেরাই করবেন।

যেমন কথা তেমন কাজ। শুরু করেন এলাকার রাস্তা সংস্কার। নিজ অর্থায়নে ইটের খোয়া ভ্যানে করে এনে খানাখন্দ ও ভাঙা সড়কের গর্ত ঠিক করছেন তারা। মোবারক হোসেনের নিজস্ব অর্থায়নে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিপন আহমেদ, আমির হোসেন, সাব্বির মাহমুদ, নাজমুল সৌরভ, সাঈদ, মাহমুদুল হাসান, সায়েম আহমদ, ফেরদাউসসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর পাঁচদিনের স্বেচ্ছাশ্রমে আজ রাস্তার সংস্কারকাজ শেষ হয়। 

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বাংলাবাজার-ব্রিটিশ তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করেছেন তারা। এতে উপকৃত হয়েছেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। এ রাস্তা দিয়ে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, দুটি মাদ্রাসা এবং তিনটি বাজারে মানুষের নিয়মিত চলাচল করতে হয়। এলাকার মানুষজন রাস্তা সংস্কারে মানববন্ধন করে কয়েকদফা দাবি জানালেও জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার। এতে দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। 

রাস্তা সংস্কারক মোবারক হোসেন বলেন, সরকারি অনুদান বা কারও অপেক্ষায় না থেকে ছাত্রদের নিয়ে নিজেরাই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেন। তারা একাধিকবার মানববন্ধনসহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম তবুও সংস্কার হয়নি।

দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এ সড়ক নিয়ে আমরা এলজিইডির কাছে আবেদন করছি। বর্তমানে আমরা সড়কটির কাজের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। সড়কটি এত খারাপ ছিল না, বন্যার কারণে খানাখন্দের পরিমাণ বেড়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে চলাচলের উপযোগী করে জনগণের দূর্ভোগ কমাতে স্থায়ী সমাধান হবে।’