মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান রয়েছেন বলে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে গুঞ্জন ওঠে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সেখানে তল্লাশি করে জানতে পারে বিষয়টি গুজব।
শামীম ওসমান গ্র্যান্ড সুলতানে রয়েছেন বলে গুজব উঠার পর থেকে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণীর উৎসুক মানুষ ভিড় করতে থাকে। পরে সেনাবাহিনীর টিম সেখানে গিয়ে প্রবেশদ্বার ও আশপাশে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তল্লাশি চালায়। সেখানে শামীম ওসমানকে পাওয়া যায়নি।
শামীম ওসমানের থাকার গুজবে কান দিয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে সেখানে যান শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া মধু। গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর উৎসুক জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে কেউ নেই। এ সব গুজব। আপনারা চলে যান। অযথা ভিড় করবেন না। অযথা আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাবেন না। পরে সবাই চলে যায়।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফের পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা বশির আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি গুজব। সেনা সদস্যরা নিজ থেকে আসেনি। আমরা ফোন করে নিরাত্তার জন্য তাদের নিয়ে এসেছি।’
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ এর ব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, শামীম ওসমানের থাকার বিষয়টি গুজব। এটি অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন পাঁচ তারকা রিসোর্ট। যা কি-না সুনামের সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন। বর্তমানে বাংলাদেশের এ ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার বিবেচনা না করে উস্কানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে। যা কি-না পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার জন্য যথেষ্ট।
তিনি বলেন, আপনারা যেন কোনো কিছু না জেনে, না বুঝে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশের পর্যটন শিল্প ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ব্যাপারে পর্যটন শিল্প রক্ষার্থে বর্তমান সরকারকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভুষণ রায় বলেন, ‘পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি৷ এখানে শামীম ওসমান থাকা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিলে তা গুজব। কিছু মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিল, তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।’