গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সবশেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ১৩ বছর আগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সেই ম্যাচের পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। অতঃপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দিয়ে আবারও সাদা পোশাকের ম্যাচ ফিরেছে গায়ানায়। ফেরার ম্যাচে একদিনেই ১৭ উইকেটের স্বাক্ষী হলো গায়ানা। দিনশেষে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ১৬০ রানে। এর পর দিনের বাকি অংশে খেলে ৯৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব মিলিয়ে ম্যাচের প্রথম দিনে উঠেছে ২৫৭ রান। দ্বিতীয় দিন সকালে হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই ধুঁকতে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসের জবাব ছিল না তাদের কাছে। ২০ রান তুলতেই হারাতে হয় ৩ উইকেট। যার দুটিই তুলে নেন শামার জোসেফ। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে আক্রমণে যোগ দেন জেডন সিলস আর জেসন হোল্ডার। তাতেই শুরু হয় ব্যাটিং ধ্বস। মাত্র একশর আগেই নাই ৯ উইকেট।
সেখান থেকে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান দেড়শর ওপারে নিয়ে যান ডেন পিয়েড ও নান্দ্রে বার্গার। গুদাকেশ মোতির বলে আউট হওয়ার আগে শেষ ব্যাটসম্যান বার্গার করেন ২৩ রান, দলের সর্বোচ্চ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন পিয়েড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন শামার।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। বার্গারের বলে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন মিকাইল লুইস। এরপর উইয়ান মাল্ডারও আঘাত হানা শুরু করলে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক সময় স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৫৬ রান, ৬ উইকেটে! শেষ দিকে মোতিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন হোল্ডার।
দিনের শেষ বেলায় মোতি কেশব মহারাজের বলে এলবিডব্লু হলে সেখানেই দিনের খেলা বন্ধ করা হয়। হোল্ডার অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ৩৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৫৪ ওভারে ১৬০ (পিয়েড ৩৮*, বেডিংহাম ২৮, স্টাবস ২৬, বার্গার ২৩; শামার ৫/৩৩, সিলস ৩/৪৫)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৮.২ ওভারে ৯৭/৭ (হোল্ডার ৩৩*, কার্টি ২৬, মোতি ১১; মাল্ডার ৪/১৮, বার্গার ২/৩২)।