২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনে জোরেশোরে কাজ শুরু করেছিলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুরু হয়েছিল ১০০ দিনের ক্ষণগণানা। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় দেশের পরিস্থিতি, হাত থেকে ফঁসকে যাচ্ছে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগও।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনসহ দেশে থাকা বেশ কয়েকজন পরিচালক বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। কিন্তু কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। বর্তমানে বোর্ডের বিভিন্ন কাজে সরব থাকা তিনজন পরিচালক বিশ্বকাপ আয়োজন ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
অর্থ্যাৎ তারা ধরে নিয়েছেন বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন আর সম্ভব হচ্ছে না। তবে শেষ পর্যন্ত কী হতে পারে সেটিও শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে যদি না হয় তাহলে কোন দেশে হবে? বিসিবির কয়েকটি সূত্র রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে, এখন পর্যন্ত এগিয়ে আরব আমিরাত। ভারত প্রত্যাখান করে দেওয়ায় এই দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।
বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ১৫ আগস্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বিসিবির অনুরোধে সেটি বাড়িয়ে ২০ আগস্ট পর্যন্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তবুও আলোর পথ দেখা যাচ্ছে না। আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির এক সদস্য ইতোমধ্যে দুবাই উড়াল দিয়েছেন বিষয়টির সুরাহা করার জন্য। তিনি আইসিসির কাছে পর্যবেক্ষণগুলো জানাবেন।
বেশি সমস্যা হচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায়। এখনও ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটি বেশি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য। এই চার দেশই নারী বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশের সঙ্গে সময় পার্থক্য কম এমন একটি দেশ খুঁজছে আইসিসি। জিম্বাবুয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেও সময় ব্যবধানের কারণে তারা পাচ্ছে না এটি। আর ভারত না করায় আরব আমিরাত এগিয়ে আছে। ২০ আগস্টের মধ্যে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে। এদিন একটি অনলাইন মিটিংও রয়েছে পরিচালকদের।
এর আগে ৫ মে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি, ড্র ও ট্রফি উন্মোচন। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে টুর্নামেন্টটির। দুই গ্রুপে দশ দলের অংশগ্রহণে যা চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।