চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরামকে গুলি করে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে নিহতের মা জোসনা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলায় নাম উল্লেখ কার অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস ছবুর লিটন, এসরারুল হক এসরারুল, মোবারক আলী, হারুন অর রশীদ, মোরশেদুল আলম, নুর মোস্তফা টিনু, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আশরাফুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, জহরলাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুরুল আলম মিয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আবদুস সালাম মাসুম, জাকারিয়া দস্তগীর, মো. ফিরোজ।
যুবলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, মো. ইসমাইল, মো. দেলোয়ার, এন. এইচ. মিন্টু, মোহন ঘোষ, মো. আলী, ভূবন ঘোষ, আরহাম খান, ইসমাইল উদ্দিন লিটন, দৌলত খান, এনামুল হক মানিক, নুর মোহাম্মদ, মো. সোহেল, নেজাম উদ্দিন, মো. আমজাদ হোসেন, ইরফানুল আলম তুষার, ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নুর নবী সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, সাগর দাস, জাহেদ হোসেন, জি. এম. তৌশিফ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, দেবাশীষ পাল দেবু, মো. জাবেদ, মহিউদ্দিন, মো. জাফর, মো. আলী (সাহেদ), মহিম আজম, দিদারুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মো. আলী, মো. ইসহাক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, দিদারুল আলম মাসুম, মো. মাসুম, জিহান আলী খান, মহিউদ্দিন শাহ, মুজিবুর রহমান রাসেল ও মোহাম্মদ রাশেদসহ ১০৮ জন। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ১৫০ জনকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিলেন। সেসময় সেখানে ছাত্র-জনতা শক্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। তখন আসামিদের নির্দেশে লাঠি, হকিস্টিক, কিরিচ এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ছাত্রদের সমাবেশে হামলা হয়। আসামিদের ছুঁড়া গুলি ওয়াসিম আকরামের বুকে ও নাভিতে বিদ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওয়াশিম আকরামকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।