দেশের তিনটি জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, বর্তমানে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, হবিগঞ্জের বান্নায় খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ফেনীর পরশুরামে মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ফেনীতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও গঙ্গার পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী দুই দিনে এসব নদীর পানি সমতল কমতে পারে। তবে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বাড়ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী তিন দিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। ফলে, এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল কয়েকটি পয়েন্টে সময় বিশেষে বাড়তে পারে।
সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি সমতল কয়েকটি পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বাড়ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। ফলে, এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, গোমতী ইত্যাদি নদীর পানি সমতল সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে, মুহুরি নদীর পরশুরাম পয়েন্টের পানির সমতল বিপৎসীমার নিচে নেমে আসতে পারে এবং ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
পাউবো জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে মঙ্গলবার পানি সমতল বেড়েছে ৬০টিতে, কমেছে ৫৪টিতে। অপরিবর্তিত আছে দুটি স্টেশনের পানি সমতল।