টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বেশিরভাগ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এতে থমকে গেছে জীবনযাত্রা। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহরের অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসা-বাড়িতেও ঢুকেছে পানি। জলাবদ্ধতার কারণে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকানপাট।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর অনেক এলাকা ডুবে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দী মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নিজ নিজ এলাকার লোকজনের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে, সার্বিক বিষয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।’
হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মনির আহমেদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে অধিকাংশ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ সময়মত ড্রেন ও নালাগুলোর পরিষ্কার না করায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।’
লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের আনিসুর রহমান বলেন, ‘যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে, ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকে যাবে। এমনিতে ঘর থেকে বের হলেই হাঁটু সমান পানি। এই পানি মাড়িয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে।’
হরিনারায়ণপুরে বাসিন্দা আকমল শুভ বলেন, ‘পানির নামার ড্রেনগুলো প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। এগুলো যদি উদ্ধার করে পরিষ্কার করা হয় তাহলে অধিকাংশ পানি নেমে যাবে। এছাড়া মাটি ফেলে অনেকে বাঁধের মতো করে রেখেছে, সেগুলোও কাটতেও হবে।’
মধুসুদনপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির পানির সঙ্গে বাড়ির আশপাশের ড্রেন-নালায় জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
দিনমজুর মো. হেলাল বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই। টানা বৃষ্টিতে কাজ বন্ধ। পুরা শহরে পানি আর পানি। এতে খাদ্য সংকটে পড়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সহযোগিতা পাইনি।’