সারা বাংলা

সাতক্ষীরার সাবেক এসপি ও এএসপিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরার আগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামকে বাড়ি থেকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হকসহ ১৮ জনকে। 

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১ এ মামলাটি করেন নিহত আনারুল ইসলামের ভাই জিয়ারুল ইসলাম। বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী, যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান ও আব্দুল হান্নানসহ ১৮ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে  নিজ বাড়ি কাশেমপুর থেকে সকাল ৯টার দিকে দুটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করেন তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. ইনামুল হক, এস আই হেকমত আলীসহ নাম না জানা আরো ৪-৫ জন। তারা আনারুল ইসলামকে প্রথমে সদর থানায় নিয়ে দুই হাত ও দুই পা পিটিয়ে ভেঙে দেয়। এরপর গভীর রাতে থানা থেকে চোঁখ বেধে সদর উপজেলার শিকড়ি নামক স্থানে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গুলি করে  হত্যা করেন। পরে নিহতের ভাই মামলার বাদী নজরুল ও স্বজনরা জানতে পারেন আনারুলের মরদেহ সদর হাসপাতালে রয়েছে।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার ওসি মো. ইনামুল হক মামলার অন্য ১৫ আসামির ইন্ধনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাদীসহ নিহতের স্বজনরা মামলা দায়েরের জন্য সদর থানায় কয়েক দফা যান।  মামলা গ্রহণ না করায় এবং পুলিশসহ অন্য আসামিদের হুমকির কারণে এতদিন মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা সম্ভব হয়েছে।