২০২৩ বিশ্বকাপের আগে সবশেষ লাল-সবুজের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল তামিম ইকবালকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আর ঘরোয়াতে খেললেও জাতীয় দলে ছিলেন ব্রাত্য হয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর তার জাতীয় দলের দরজাও যেন খুলে গেছে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ এমনই ইঙ্গিত দিলেন। তবে তামিম যদি মাঠে না যেতে চান তাহলে বোর্ডে স্বাগত জানানো হবে।
‘খুব ভালো হয় যদি ও খেলতে পারে। আর যদি খেলতে না পারে, বোর্ডে আসে তাহলে আমি খুব খুশি হবো। কারণ, আপনি দেখেন, তামিম আমার অন্তত বিশ বছরের ছোট হবে; যদি বেশি না হয়। কাছাকাছি হয়তো। সে সাবেক অধিনায়ক, তার মানে তার লিডারশিপ কোয়ালিটি আছে।’
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফারুক। এ সময় তিনি তামিমকে আরও দুই থেকে তিন বছর খেলায় দেখার প্রত্যাশা করেন।
‘আপনি যদি আমাকে বলেন আমি দেখতে চাই তামিম আরও দুই তিন বছর খেলবে। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমার ব্যক্তিগত অভিমতে কিন্তু কিছু যায় আসে না। ওর ফিটনেস হবে, টিমে আসতে হলে কী করতে হবে; যে বিষয়গুলো আছে। সভাপতি হিসেবে অফ দ্য রেকর্ড যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি কিন্তু দেখতে চাই আরও দুই বছর ক্রিকেট খেলুক। আমি চাই আর কী।’
এর আগে বারবার তামিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা বলেছিল বোর্ড। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তবে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তামিমকেই।
ফারুক বলেন, ‘এক্ষেত্রেও কিন্তু খেলোয়াড়ের চিন্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তামিম কী চিন্তা করছে, প্রথমে তার সঙ্গে কথা বলা দরকার। এদিক-সেদিক না ঘুরিয়ে। তামিম খুব সেন্সিবল ছেলে। আমার মনে হয় ওয়ান অব দ্য বেস্ট উই হ্যাভ এভার প্রডিউসড ইন বাংলাদেশ।’
তামিম যদি মাঠে ফেরেন কোন সংস্করণে দেখা যাবে? টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন ৪ বছর আগে। বাকি রইল টেস্ট-ওয়ানডে। শারীরিক অবস্থান বিবেচনায় ওয়ানডেই তার জন্য যুতসই বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি।
‘কোন সংস্করণে খেলবে, আমার মনে হয় ৫০ ওভার সেরা। লংগার ভার্সন সবচেয়ে ভালো হতো অভিজ্ঞতাসহ, কিন্তু এটার যে কষ্ট; হয়তো ওর শরীর নিতে পারবে না। আমি জানি না। এটা তামিমই বলতে পারবে।’