প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের তিনশ’ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে অন্তত এক হাজার পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার (২১আগস্ট) গভীর রাতে ও ভোরে মুষলধারে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে পানি কিছুটা কমলেও ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারী, দক্ষিণ বাইশারী, মধ্যম বাইশারী, পুর্ব বাইশারী, নারিচবুনিয়া, করলিয়ামুরা, গোদাম পাড়াসহ বাইশারী বাজারের দোকানগুলোতে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যান্য এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে গেলেও কয়েক ঘণ্টা পরে পানি নেমে যায়। এছাড়া রাস্তাঘাট ও খালের বেড়ি বাঁধগুলো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
দক্ষিণ বাইশারী গ্রামের নুরুল আলম ও একই গ্রামের বাসিন্দা মো. জুনাইদ জানান, সারারাত মুষলধারে ভারী বৃষ্টিতে পুরো গ্রাম ডুবে যায়। বসত ঘরের ভিতরে পানি উঠেছে। হাঁস, মুরগি পানিতে ভেসে গেছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ ইউনিয়নে বন্যায় প্রায় এক হাজার পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো তিন শতাধিক পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যায় কবলিত পরিবারদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া জানান, এলাকার মানুষজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ৪২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২৫০ জনের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যে যার মত বন্যায় কবলিত পরিবারের মাঝে সহযোগিতা করছেন।