নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজিজুল মিয়া নামে ডাব বিক্রেতা হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও নরসিংদী সদর আসনের এমপি নজরুল ইসলাম হিরুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ৮১ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নাহিদ নিয়াজীর আদালতে মামলা করেন নিহতের বাবা আলমাছ মিয়া। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত আজিজুল মিয়া সদর উপজেলার বাদুয়াচর দড়িপাড়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এস এম কাইয়ুম, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ শাহজালাল আহমেদ শাওন সহ, আওয়ামী লীগের মেয়র, যুবলীগ প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে নরসিংদীর জেলখানার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজিজুল অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় একাধিক গুলি আজিজুলের শরীরে বিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই রাত ১টায় তিনি মারা যান।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাবা আলমাছ তার ছেলে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।