সারা বাংলা

খুলনায় বিএনপি নেতাকে হত্যা চেষ্টা, থানায় ইউপি চেয়ারম্যান 

খুলনার ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম সরদারকে (৫৫) গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) জুমার নামাজের পর উপজেলার নতুনহাটের বাবু স্টেশনে তার ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিবলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে, হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফুলতলার নতুনহাটস্থ জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন সেলিম সরদার। নামাজ শেষে ভাইপো আবু ওবায়দা অনিকের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নতুনহাটের বাবু স্টেশনে পৌঁছালে সেলিমকে লক্ষ্য করে দুই যুবক কাছ থেকে পিস্তল দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি করে। তবে গুলি সেলিম সরদারের শরীরে লাগেনি। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে দুই যুবক আরও কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুনহাট হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

বিএনপি নেতা সেলিম সরদার বলেন, ‘বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল, ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে যে চরমপন্থী নেতার নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে, তারাই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছে।’ 

ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ বলেন, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল, ডিবির ওসি মো. নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানায় এসে চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিপলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।