চাঁদপুরের মতলব উত্তর মেঘনা-ধানাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট গর্ত ভরাট করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ও মেঘনা নদীর পানির চাপে মাটি সরে গিয়ে হওয়া গর্তগুলোর কারণে ভাঙনের হুমকিতে ছিলো এই বাঁধ। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত স্থান সার্ভে করে সংস্কারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সরজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের নন্দলাপুর, শীবপুর, ফরাজীকান্দি, জহিরাবাদ ও হাসিমপুরের সড়কের পিচ ও ঢালাই উঠে গেছে। সেখানে গর্ত ও বড় বড় ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। যে করণে পুরো বেড়িবাঁধ রয়েছে ভাঙন হুমকিতে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধটি ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চাঁদপুর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৬০ কিলোমিটারে ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে অর্থায়ন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এই বাঁধের ভেতরে প্রায় ৩২ হাজার ১১০ একর ফসলি জমি আছে। নির্মাণের পর এ পর্যন্ত কয়েকবার বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে কয়েক’শ কোটি টাকার ফসল ও সম্পদের ক্ষতি হয়।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ সংস্কার করেন স্বেচ্ছাসেবীরা
জহিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর পানির চাপ এবং টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের আওতাধীন এলাকায় কয়েক লাখ মানুষ বাসবাস করেন। তারা ভাঙন ঝুঁকিতে আছেন। আমরা মতলবের ২৫টি সামাজিক সংগঠন এক হয়ে বাঁধের গর্তগুলো স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংস্কার করছি।’
নন্দলাপুর গ্রামের জুম্মান হোসেন বলেন, ‘ছোট ছোট গর্ত দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ বিষয়ে চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল বলেন, ‘সড়কের পিচ-ঢালাই উঠে যাওয়া নিয়ে সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। বড় গর্তগুলোতে জিওব্যাগ ভর্তি বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি। লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করছি।’