গোপালগঞ্জে একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেক কমেছে। গত শুক্রবার যে মরিচ বাজারে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তা আজ (২৫ আগস্ট) বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সবজিটির দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
রোববার গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত শুক্রবার পাইকারি বাজারে কাঁচ মরিচ ৩০০ টাকা দরে ও খুচরা বাজারে ৪০০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হয়েছিল। মাত্র একদিনের ব্যবধানে সেই মরিচ এখন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে আসা সুশান্ত সাহা নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘চাকরি করি। যা বেতন পাই তার ওপর নির্ভর করে সংসার চালাই। বাজারে নিত্যপণ্যের যে দাম তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সব ধরনের সবজি অল্প অল্প করে কিনতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে ৪০০ টাকা কেজি ছিল কাঁচা মরিচের। আজ সেই মরিচের কেজি ২০০ টাকা। দাম কমায় ভালো লাগছে। আমার মতে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম ব্যবসায়ীদের কমানো উচিত।’
গোপালগঞ্জ শহরের কাজী ভান্ডারের মালিক জাহিদ কাজী বলেন, ‘বাজারে আজ প্রচুর কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এছাড়া মোকামে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। এজন্য গোপালগঞ্জের আড়তগুলোতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার এই মরিচ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল শনিবার কাঁচা মরিচ আমরা ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’
গোপালগঞ্জ কাঁচা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আব্দুল আলীম বলেন, ‘আজ পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা করে কিনেছি। ক্রেতাদের কাছে ২০০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করছি। গতকাল শনিবার প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। শুক্রবার মরিচ বিক্রি করেছি ৪০০ টাকা কেজিতে। আড়ত থেকে কম দামে কিনতে পারলে আমরাও কমদামে মরিচ বিক্রি করতে পারবো।