পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করা ও আস্থা ফেরানো তার প্রথম কাজ বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, ‘পাশাপাশি আমাদের যেসব কমপ্লায়েন্স রয়েছে, সেটার পরিপালন নিশ্চিত করা। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমরা কমপ্লায়েন্স পরিপালন করা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। এখন আমাদের সঠিক পথে আসতে হবে। সুশাসন ফেরানো ছাড়া বাজারে ভালো কিছু আশা করা যায় না। এ সুশাসন নিশ্চিত করা নিজেদের ঘর থেকে সবার আগে শুরু করতে হবে। এরপর মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আনতে হবে।’
রোববার (২৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব বলেন। এ সময় বিএসইসির কমিশনার ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, মোহসীন চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসরাশ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত একদশকে পুঁজিবাজারে অনেক অনিয়ম হয়েছে। সেটাকে আমরা খুব সহজেই সরাতে পারব না। এটা রাতারাতি করা সম্ভব নয়। আগামী ১৪ মাসেরও তা সম্ভব হবে কি-না সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে আমরা যদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে সবাই মিলে একত্রে কাজ করি, তাহলে আমরা সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছাতে পারব। হয়ত আমরা এখন যে জায়গায় যেতে চাচ্ছি, তা সহসায় হবে না। তবে আমাদের লক্ষ্যের কাছাকাছি আসতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘সে জন্য যার যার জায়গা থেকে আইন মেনে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সবারই পুঁজিবাজারে আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। এ জন্য আমরা আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেছি।’
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমাদের বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতি ফোকাস করতে হবে। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য কৃত্রিমভাবে না। মৌলিক পরিবর্তিনের মাধ্যমে আনতে হবে। পুঁজিবাজারে ভালো রেগুলেশনস আছে। কিন্তু সেটার প্রয়োগ হয়নি। যার প্রয়োগ এখন থেকে করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত একদশকে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে কাজ করতে চাই। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটা নিজেদের ঘর থেকে (বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী) সবার আগে করতে চাই। এরপরে অন্যসব জায়গার দোষীদের ধরা হবে। প্রতিটি কাজ ধরে ধরে তদন্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে ঘরে-বাহিরে সবক্ষেত্রে দেখব কারা জড়িত। এক্ষেত্রে তদন্ত করার জন্য স্বতন্ত্র দল (ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি) জরুরি। এটা আমরা করব।’
রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমি একটি মিশন নিয়ে বিএসইসিতে এসেছি। তা পূরণ করব। যদি করতে না পারি, তারপরও বিএসইসিতে আমাকে থাকতেই হবে এমন না।’