সারা বাংলা

আশুলিয়ায় কিশোর হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

সাভারের আশুলিয়ায় মেজবাহুল (১৭) নামে এক কিশোরকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নবীনগর এলাকায় র‍্যাব -৪ সিপিসি-২ ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সাজ্জাদুর রহমান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলা সদরের ভানাই কুশলিয়া এলাকার মো. ইয়াসিন আরাফাত (২২), বরগুনার বেতাগি থানার খান্তাখাটা লক্ষ্মীপুর এলাকার তামিম আকন (১৮) ও ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বরখারদিয়া এলাকার মুন্না মুন্সি (১৯)।

নিহত মেজবাহুল (১৭) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি আশুলিয়ার বটতলা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

র‍্যাব জানায়, গত ৩১ জুলাই সকালে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার একটি কাঠ বাগানের ভেতর থেকে নাম না জানা কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে র‍্যাব। গতকাল শনিবার আশুলিয়ার বাইপাইল নামাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা।

র‍্যাব জানায়, গত ৩০ জুলাই বিকেলে মেজবাহুলকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। বাসায় ফিরে না আসায় মিজবাহুলের মোবাইলে ফোন করেন তার বাবা। এ সময় আসামিরা মুক্তিপণ হিসেবে নগদ ২৪ হাজার টাকা দাবি করে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। পরে মাজবাহুলের বাবা রবিউলের বাসায় গিয়ে সন্তানের খোঁজ জানতে চান। সেসময় রবিউল কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। গত ১৯ পরিবার জানতে পারে মেজবাহুলকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বাড়ইপাড়ার কাঠ বাগানের ভেতরে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে নিহতের পরিবার আশুলিয়া থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ জানায়, ৩১ জুলাই ওই স্থান থেকে নাম না জানা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইলের এক ব্যক্তি লাশটি তার ছেলের দাবি করে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করে আশুলিয়া থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।

স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা এবং চাকরির সুবাদে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। আসামিরা ওই এলাকায় বসবাসরত ভিকটিম মেজবাহুলকে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী আসামিরা গত ৩০ জুলাই বিকেলে মেজবাহুলকে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার ফোন থেকে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় তারা মেজবাহুলকে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।