টানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের কারণে বরগুনার বিষখালী ও পায়রা নদীর তিনটি ফেরিঘাট পানিতে ডুবে গেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিষখালী নদীতে জোয়ার শুরু হলে দুপুর ১টার দিকে বরগুনা-পাথরঘাটা এবং বদনীখালী-বামনা ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়। পরে দেড়টার দিকে পায়রা নদীর পুরাকাটা-আমতলী ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব রুটের যাত্রীরা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় ১২০ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরইতলা-বাইনচুটকি ফেরি ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারের পানিতে প্রায় আড়াই ফুট তলিয়ে যায় গ্যাংওয়ে। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বরগুনা-পাথরঘাটাগামী যাত্রীরা।
পাথরঘাটাগামী যাত্রী ইবনে সাদ বলেন, ‘ভারী বর্ষণের কারণে গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এখান থেকে চলাচল করাটা অনিরাপদ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য ঝুঁকি রয়েছে। কয়েকজনকে দেখলাম পানিতে পড়ে ব্যাথা পেয়েছেন।’
পাথরঘাটা থেকে বরগুনা আসছিলেন সোহেল নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই এই ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়। ইট দিয়ে গ্যাংওয়ে উঁচু করে দিলে মানুষের এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।’
একই অবস্থা পুরাকাটা-আমতলী ও বদনীখালী-বামনা ফেরি ঘাটের। এই দুটি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে রয়েছেন যাত্রীরা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. রাকিব বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় ১২০ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, জেলার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জোয়ার শেষ হলে গ্যাংওয়ে থেকে পানি নেমে যাবে।’