আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) শুভ জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র জন্মতিথি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ বছর তার জন্মতিথি উৎসবের খরচ কমিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেত্রকোণার জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি। একই সঙ্গে জেলার প্রতিটি মন্দিরে দেশ ও বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের মঙ্গল কামনায় করা হয়েছে প্রার্থনা।
নেত্রকোণা শহরের নরসিংহ জিউর আখড়া ও ইসকনছাড়াও জেলার ১০টি উপজেলায় আজ জন্মাষ্টমী উদযাপন করে জেলা ও উপজেলা কমিটি। আয়োজিত কর্সূচির মধ্যে ছিল পূজা আর্চনা, গীতাপাঠ, প্রার্থনা, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, প্রসাদ বিতরণ। এছাড়া, সকালে শহরের নরসিংহ জিউর আখড়া মন্দিরে পূজা আর্চনার পর আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত সাহা রায় মানিকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান খান, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জ্ঞানেশ রঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সিতাংশুবিকাশ আচার্য এবং শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন জেলা কমিটির সম্পাদক লিটন দত্ত প্রমুখ।
শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন জেলা কমিটির সম্পাদক লিটন দত্ত বলেন, ‘উৎসবের প্রতিটি কর্মসূচিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিয়েছেন। উৎসবে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছেন ভক্তরা।’
নেত্রকোণা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত বলেন, ‘উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জেলা শহর ও উপজেলাগুলোতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উৎসব উদযাপন হচ্ছে। সব উপজেলায় শোভাযাত্রা হয়েছে। দেশের ১১ জেলার বন্যাকবলিতদের সহযোগিতার জন্য উৎসবে খরচ কম করা হয়েছে। অন্য বছরে শোভাযাত্রায় যে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়, এবার তা করা হয়নি। এভাবে এবারের প্রতিটি কর্মসূচিতে খরচ কমানো হয়েছে। উৎসবে খরচ কমিয়ে বাঁচানো অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতায় দেওয়া হবে। আমরা দেশের সব মানুষসহ বন্যা কবলিতদের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছি।’