নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে গাজী টায়ার কারখানায় আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২টি ইউনিট।
রোববার রাত ৯টার দিকে কারখানায় বিভিন্ন বয়সের কয়েকশ মানুষ প্রবেশ করে লুটপাট শুরু করে বলে গণমাধ্যমে জানান কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম। কারখানায় টায়ার তৈরির বিভিন্ন কাচামালসহ সালফিউরিক এসিড রাখা ছিল। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ভবনটির নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ডেমরা, আদমজী ইপিজেড, আড়াইহাজার, নরসিংদী, কাঞ্চন, হাজীগঞ্জ, ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছুটে এসে কারখানায় আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী, র্যাব, পু্লিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে রাতে ভবন থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
এ দিকে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনরা কারখানার সামনে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। এ সময় তাদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের তালিকা শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (ঢাকা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তালিকা করা হচ্ছে। এটি প্রাথমিক তালিকা। তালিকাটি পরে পুলিশকে দেওয়া হবে। পুলিশ তদন্ত করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য জানাবে।
তবে আজ বেলা ২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান রেজাউল করিম।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, কারখানাটির ছয়তলার একটি ভবনে বেলা দুইটার দিকেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ভবনগুলোর ভেতর যাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, ভেতরে কেউ পুড়ে মারা গেছেন কি না।