সারা বাংলা

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ সদস্য কারাগারে 

মোটরসাইকেল কিনতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় এক পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই পুলিশ সদস্যের নাম শরীফ আল‌ আমীন। তিনি ঢাকা মেট্রোরেল পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আসামি শরীফ জামিনের আবেদন করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান শুনানি শেষে শরীফের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামি শরীফ খুলনার তেরখাদা উপজেলার চরকুশালা গ্রামের শরীফ মো. নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শরীফ বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মৃত মোশাররফ আকনের মেয়ে ফারজানা স্বর্ণাকে বিয়ে করেন। ওই সময় শরীফের চাহিদামতো কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠানো হয়। কয়েক দিন পর শরীফ মোটরসাইকেল কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। স্বর্ণার মা শরীফকে দেড় লাখ টাকা যোগাড় করে দেন। এতেও শরীফ খুশি হতে পারেননি। এ নিয়ে শরীফ স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে দরজার ওপর ফেলে দেন। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন।

বাদী ফারজানা স্বর্ণা বলেন, ‘বিয়ের দুই মাসের মধ্য আমার স্বামী মোটরসাইকেল কেনার জন্য ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি মামলা করলেও তার সঙ্গে আপস হয়ে সংসার করতে চেয়েছি। আমার স্বামীকে ২ জুলাই আদালত আপসের শর্তে জামিন দেন। জামিনে গিয়ে শরীফ আমার সঙ্গে আপস করেননি। আমি এখনও তার সঙ্গে সংসার করতে চাই।’

আসামির আইনজীবী মো. আহসান হাবিব স্বপন বলেন, ‘আমার মক্কেল বাদীর কাবিনের সমূদয় টাকা দিয়ে আপস করতে চায়। কিছু দিন পর আমরা আবার জামিনের আবেদন করবো।’