সারা বাংলা

নোয়াখালীতে দেখা মিলেছে সূর্যের, পানি নামছে ধীরগতিতে

কয়েকদিনের বৃষ্টির পর নোয়াখালীতে দেখা মিলেছে সূর্যের। এতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে বন্যার পানি তেমন না কমায়। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া বানভাসিরা কবে ঘরে ফিরতে পারবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে তাদের।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে নোয়াখালীর আকাশে কড়া তেজ নিয়ে সূর্য দীপ্তি ছড়াচ্ছে। এতে স্বস্তি পাচ্ছেন টানা বর্ষণ ও বন্যার পানিতে সঙ্কটে থাকা মানুষ।

জেলা প্রশাসনের সূত্র মতে, নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি উপজেলার মানুষ বেশি শিকার হয়েছে বন্যার। জেলায় এ পর্যন্ত ১৩০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সোয়া দুই লাখ বানবাসী আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন প্রায় ২১ লাখ মানুষ।

সকাল থেকে দেখা গেছে, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তার গতি খুবই কম। এতে পানিবন্দি মানুষরা এখনো আতঙ্কে রয়েছেন। তারা বলছেন- পানি নামছে ঠিকই, তবে যে গতিতে নামার কথা সেভাবে নামছে না। কারণ, যেখান দিয়ে পানি নামার জায়গা সে খাল-নালা-পুকুর-জলাশয় ভরাট হয়ে আছে। অনেক জায়গায় প্রভাবশালীরা দখল করে গড়ে তুলেছে বহুতল ভবন। আবার নোয়াখালী খালের একটি অংশ বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে। এতে করে বৃষ্টি থেমে গেলেও পানি সহজেই নামবেনা বলে মনে করছেন তারা।

শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার ইকবাল হোসেন বলেন, পানি নামছে। তবে গতি কম। কারণ যে পথ দিয়ে পানি নামবে সেগুলো অনেকটা ভরাট হয়ে আছে। তাছাড়া যেখানে গিয়ে বন্যার পানি গড়িয়ে পড়বে সে খাল-নালা-পুকুর-জলাশয়ও ভরে আছে পানিতে।

হরিনারায়ণপুর এলাকার গোলাম হোসেন বলেন, স্মরণকালের এ বন্যায় নোয়াখালীর সব শ্রেণির মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে বৃষ্টি নেই ঠিকই, তবে পানিতো নামছে আস্তে আস্তে। আমরা যারা পানিবন্দি হয়েছি তারা বিপাকে আছি।

লক্ষীনারায়ণপুর এলাকার জলিল বলেন, বন্যার কারণে খুবই কষ্টে আছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ঘরে খাদ্য সংকট। বাজারে যেতে পারছিনা, পানি এখনো হাঁটু সমান।

মধুসুধনপুরের জিয়াউর রহমান বলেন, এলাকায় যে পরিমাণ পানি রয়েছে তা নামতে সময় লাগবে। অফিসগামীরা রয়েছেন বিপাকে। রাস্তা খারাপ হয়ে গেছে, যানবাহন পাওয়া যায় না।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর বরহমান বলেন, পানি নামছে, তবে গতি কম। বৃষ্টি না হলে আশা করি পানি আরও কমে যাবে। যেসব জায়গা দিয়ে পানি নামার কথা সেগুলো প্রশাসন তদারকি করছে। কোথাও পানির প্রবাহ বন্ধ থাকলে তা অপসারণ করা হচ্ছে।