খেলাধুলা

যে দুই রেকর্ডের হাতছানি মুশফিকের

ঝকঝকে ১৯১ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি মাত্র ৯ রানের জন্য হাতছাড়া হলেও প্রথমবারের মতো পাকিস্তান দূর্গ জয় করায় দারুণ খুশি মুশফিক। মিডল অর্ডারের এই কাণ্ডারি ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন, আইসিসি টেস্ট ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ে সাত ধাপ এগিয়ে এসেছেন, পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং। এছাড়া একাধিক রেকর্ডকেও সঙ্গী করেছেন। সামনে তার সামনে আরো দুটি রেকর্ডের হাতছানি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও পিন্ডির ২২ গজে ব্যাট হাতে সহজেই দুটি রেকর্ডকে নিজের করে নিতে পারবেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিক অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। রান সংখ্যায় এগিয়ে থাকার পাশাপাশি র‍্যাংকিংয়েও রয়েছে তার দাপট।

৫ হাজার ৮৬৭ রান নিয়ে মুশফিক রান সংখ্যায় সবার চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে তার প্রয়োজন ১৩৩ রান। ৩৯.১১ গড় ও ৪৮.২৯ স্ট্রাইক রেটে ৮৯ ম্যাচে ১৬৪ ইনিংসে মুশফিক এই রান করেছেন। সামনে তার বড় কিছুর হাতছানি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এতোটা লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে টিকে থাকা, পারফর্ম করা এবং রেকর্ডের মালা পরা সব কিছুই কঠিন। কঠিন এই কাজটা মুশফিক শতভাগ নিবেদন, একাগ্রতা দিয়েই করে যাচ্ছেন।

লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে রান সংখ্যায় সবার উপরে তামিম ইকবাল। ৩৮৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪৪৮ ইনিংসে তামিমের রান ১৫ হাজার ১৯২।  ৩৪ রান করতে পারলে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তামিমের রানকে ছাড়িয়ে যাবেন। মুশফিকের রান ১৫ হাজার ১৫৯। দুটি মাইলফলক ছোঁয়া মুশফিকের জন্য অসম্ভবের কিছুই নয়। রাওয়ালপিন্ডিতে মুশফিকের ব্যাটে আরেকটি অনবদ্য ইনিংস তাকে নিয়ে যেতে পারে নতুন এক উচ্চতায়। ক্রিকেটপ্রেমিরা নিশ্চিতভাবেই সেই অপেক্ষাতে থাকবেন।