পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের পর সাকিব আল হাসান দেশে ফিরছেন না। নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
পাকিস্তান থেকে সাকিব সরাসরি চলে যাবেন ইংল্যান্ডে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব সারের হয়ে ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। এরপর সাকিব সেখান থেকে যোগ দেবেন ভারতে। ভারতে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। জাতীয় দলের জার্সিতে তাকে পুরো আসরে পাওয়া যাবে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন ফারুক। বৃহস্পতিবার বিসিবির বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমে এ কথা বলেছেন তিনি।
২০০৯-১০ সালের লিগ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইংলিশ কাউন্টিতে খেলেন সাকিব। ওস্টারশায়ারের হয়ে ৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন সেবার। ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্লাস্ট খেলেন ২০১৩ সালে লেস্টারশায়ারে। লম্বা বিরতি দিয়ে আবার ইংলিশ কাউন্টিতে ফিরছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
৫ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর কাউন্টিতে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন সাকিব। ৯ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর সামারসেটের বিপক্ষে সারের ম্যাচ। একটি ম্যাচ খেলতেই সাকিব ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন।
ফারুক নিশ্চিত করেছেন তিনি বোর্ডে আসার আগেই সাকিব ইংল্যান্ডে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন। ফলে নতুন করে তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাকিব কেবল বাইরের ম্যাচগুলো খেলবে এবং বাকি সময় বাইরে থাকবে এমন কিছু এখনই ভাবছে না বিসিবি। তাকে এজন্য বাইরে থাকার এনওসিও দিচ্ছে না বোর্ড।
কাউন্টি ম্যাচ শেষ করে সাকিব ভারতের বিমান ধরবেন। কারণ, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সাকিব পুরো সিরিজেই অ্যাভেইলেভেল থাকবেন।
সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের নামে খুনের মামলা এবং তাকে দেশে ফেরাতে আইনি নোটিশ বিসিবিতে পাঠানো হয়েছে। বিসিবিও পাল্টা নোটিশ পাঠিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। সাফ জানিয়েছেন, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত সাকিব খেলা চালিয়ে যাবে।
ফারুক আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সাকিবের মামলা নিয়েও কথা বলেছেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত আগেরটাই। দেশের হয়ে ও খেলা চালিয়ে যাবে। আমরা তাকে ভারত সিরিজেও চাই। সে সেখানেও খেলবে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এখনো এফআইআর পর্যায়ে আছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় সে খেলবে। আমরা উকিল নোটিশের জবাবে এটাও বলেছি।’