সাতসতেরো

যেখান থেকে আসে পদ্মার পানি

পদ্মা নদীর উৎপত্তি হয়েছে হিমালয়ের বরফ ঠান্ডা পানির উৎস থেকে। ভারত ও নেপাল থেকে নেমে আসা প্রায় অর্ধশত নদীর সম্মিলিত রূপ হচ্ছে পদ্মা নদী। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পদ্মার বিস্তার প্রায় ৩৫৭ কিলোমিটার জুড়ে। রাজশাহী, পাবনা, ঢাকা এবং ফরিদপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এই নদী। এই নদীই ভারত অংশে গঙ্গা নামে পরিচিত। গঙ্গা একদিকে প্রতিবছর ভারত থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন টোন মাটি সরিয়ে দেয়। আবার অন্যদিকে পুরো ভারতের চারভাগের এক ভাগ পানির যোগান দেয়। 

ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত দুইটি বড় পাহাড় এবং উত্তরখণ্ডে অবস্থিত আরও একটি বড় পাহাড় থেকে সারা বছর জুড়ে বরফ গলে গলে যে পানির উৎপত্তি হয়, সেই পানির মূল উৎস পদ্মা। ভারতে পদ্মা বা গঙ্গা ছুঁয়েছে প্রায় ২৫টি জেলা। আলোকানন্দা, রামগঙ্গা, কালিনাদী, ইয়ামুনা, গোমতী, কালী গান্দাক, কোশী এবং সোনে নদীর পানি গঙ্গা হয়ে পদ্মায় মিলিত হয়েছে।

মোট কথা হিমালয় পর্বত থেকে শুরু করে ভারতের উত্তর প্রদেশে যত নদী রয়েছে সেগুলোর পানি প্রবাহ শেষ পর্যন্ত পদ্মায় মিলেমিশে যায়। ভারত-নেপাল মিলিয়ে প্রায় পঁচিশটি নদীর পানি প্রবাহ নিয়ে পদ্মা গড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ অংশে। 

নদীটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় এসে মিলিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র  নদের সঙ্গে। যেখানে ব্রহ্মপুত্র তিস্তাসহ ভারত থেকে আরও প্রায় ১০টি নদীর পানি বয়ে নিয়ে আসে। 

সব নদীর পানি পরিবহন করে পদ্মা যখন চাঁদপুরের মেঘনা মোহনার দিকে ছুটে যায় তখন পদ্মার পানির গতি শুধুমাত্র পিছিয়ে থাকে আমাজন নদী থেকে। মাওয়া অঞ্চলে এই নদী এতোই খরস্রোতা যে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪০ হাজার কিউবিক মিটার পানি পরিবহন করে।