সড়ক জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। অনেক স্থানেই পিচের ঢালাই উঠে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে পানি। এছাড়া, কাদাপানি ছিটে নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের পোশাক। এ অবস্থা পাবনার চাটমোহর পৌরসভার প্রধান সড়কের। স্থানীয়দের দাবি, ১০ বছর হয়ে গেলেও সড়কটির উন্নয়নে কোনো কাজ হয়নি।
এই পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়রের দাবি, টেন্ডার শেষে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। বৃষ্টি শেষ হেলে কাজটি শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, চাটমোহর থানা মোড় থেকে নতুন বাজার জার্দিস মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কটি দুর্ভোগের আরেক নাম। পুরো সড়ক জুড়ে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে থাাকে পানি। গর্ত দেখতে না পারায় প্রায়ই বিভ্ন্নি ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে। জরুরি রোগী হাসপাতালে নিতে বিপাকে পড়েন মানুষজন।
চাটমোহর পৌরসভার বাসিন্দা রনি রায় বলেন, ‘নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা এটি। এই পৌরসভার প্রধান সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটির কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার নেই।’
আব্দুল মান্নান পলাশ বলেন, ‘আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম, যে আশা নিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছিলাম, সে আশা পূরণ হয়নি। বৃষ্টি হলে সড়কে চলা যায় না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’
হোটেল ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার হোটেলের সামনে সড়কটি সবচেয়ে বেশি ভাঙা। বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে সড়কে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়ে। দশ বছরে সড়কটির কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমরা চাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হোক।’
ব্যাটারি চালিত ভ্যানের চালক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘এই সড়কে আর গাড়ি চালাতে ইচ্ছা করে না। একবার যাতায়াত করলে শরীর প্রতিটি জয়েন্টে ব্যাথা করে। এছাড়া গাড়ি প্রায় নষ্ট হচ্চে। তিনদিনে যা কামাই করি, একবার গাড়ি মেরামত করতেই সব শেষ।’
চাটমোহর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকতেই সড়কটির টেন্ডার হয়ে গেছে। কার্যাদেশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। কাজও শুরু করার কথা ছিল। হঠাৎ করেই দেশের পরিস্থিতির কারণে থমকে গেছে কাজটি। আমার ধারণা, বৃষ্টি শেষ হলেই কাজ শুরু হতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাটমোহর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মেহেদী হাসান শাকিলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত চাটমোহর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয় ২০১৮ সালে। এই পৌরসভায় ভোটার রয়েছেন ১২ হাজার ২৩৮ জন। পৌরসভায় মোট পাকা সড়ক আছে ২৩ দশমিক ৯৭৫ কিলোমিটার।