বিনোদন

কী করলে সরকারের ঘুম ভাঙবে, প্রশ্ন স্বস্তিকার

কলকাতার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বেলা ৩টার দিকে শুরু হয় মহামিছিল। কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে যোগ দেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বরাবরের মতো আজ যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। মিছিলে গিয়ে স্বস্তিকা জানালেন— এই প্রতিবাদ থামবে না।

স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘সকলে নিজের নিজের মতো করে প্রতিবাদ করছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, তা এখনো আমরা জানি না। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত কোন পথে চলছে, খবর আমাদের কাছে নেই। সরকারের তো একটা দায়বদ্ধতা আছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে জবাব দেওয়ারও তো একটা দায়বদ্ধতা আছে।’

আরজি কর কাণ্ড একজন ব্যক্তি ঘটিয়েছেন তা বিশ্বাস করেন না স্বস্তিকা মুখার্জি। সংশয় প্রকাশ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রায় এক মাস হতে চলল। এমন একটা নির্মম ঘটনার কোনো সুরাহা হলো না। জনসাধারণকে বোকা ভেবে লাভ নেই। একটা মানুষকে দোষী হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে, কিন্তু আমরা কেউ বিশ্বাস করি না, একা এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছে সে! সেটা অসম্ভব।’

এই হত্যাকাণ্ডকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে, দাবি করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, ‘অনেক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, মৃতদেহের পাশে রীতিমতো গোল বৈঠক করে পরিকল্পনা চলেছে। অকুস্থলে কোনো নিরাপত্তা নেই। মিথ্যা কথা বলে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে।’

‘সাধারণ নাগরিক হিসেবে আর কী কী করতে পারি, যাতে সরকারের ঘুম ভাঙে, সেটাই দেখছি। নির্যাতিতার বাবা-মাও তাই চান।’ বলেন স্বস্তিকা মুখার্জি।

উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট দিবাগত ভোররাত ৩-৬টার মধ্যে হাসপাতালে খুন করা হয় ওই তরুণী চিকিৎসককে। ধর্ষণের পর তাকে খুন করা হয়েছে। ওই তরুণীর গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই প্রাথমিক ধারণা, গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে মোট দশ স্থানে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে; লজ্জাস্থানে রক্ত ছিল।