সারা বাংলা

রামেক হাসপাতালে ‘সীমিত পরিসরে’ শাটডাউন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে ‘সীমিত পরিসরে’ শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালের মধ্যে ৪ দফা দাবি আদায় না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।

বর্তমানে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এ হাসপাতালে শুধু জরুরিসেবা এবং নতুন রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালু রয়েছে। আপাতত ওয়ার্ড সামলাচ্ছেন নার্সেরা। চিকিৎসকেরা পুরনো রোগী দেখছেন না। রোববার বিকালে হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। যদিও হাসপাতাল পরিচালকের দাবি, প্রতিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসক আছেন এবং সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে রোববার দুপুর ২টা থেকে সারা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণার পর রামেক হাসপাতালেও এর প্রভাব পড়েছে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত বোনের রক্তের চাহিদাপত্র নিতে রোববার বিকালে হন্য হয়ে একজন চিকিৎসক খুঁজছিলেন আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করা হাসান মৃধা। তিনি বলেন, ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নিতে হলে ডাক্তারের চাহিদাপত্র নিতে হবে। এটার জন্য একজন ডাক্তারও পাচ্ছেন না।

হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এখনও পুরোপুরি কর্মবিরতি শুরু করিনি। সীমিত পরিসরে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। এখনও জরুরি বিভাগ ও নতুন রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। ৪ দফা দাবি আদায় না হলে কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হবে।’

হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘এখনও চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রয়েছে। কেন্দ্র থেকে ঘোষণা আসলে আলোচনা করে কর্মবিরতি পালন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহমেদ দাবি করেছেন, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসক আছেন এবং সেবা কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক আছে।