রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (৩১ আগস্ট) মধ্য রাত থেকে জেলেদের মাছ ধরার কথা ছিল। তবে পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যদের চাঁদা প্রদান না করতে পারায় জেলেদের মাছ শিকার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
ফলে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কোনো মাছ নিয়ে জেলেরা অবতরণ করেননি।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় কাপ্তাই মৎস্যজীবী সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, জেএসএস (সন্তু) সমর্থিত কিছু সদস্য কাপ্তাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিকট হতে অতিরিক্ত বাৎসরিক চাঁদা দাবি করে। যা অন্যান্য বছরে তুলনায় অনেক বেশি। তাদের কথামতো চাঁদা দিতে না পারায় জেলেদের মাছ ধরতে নিষেধ করেছেন তারা। ফলে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপকেন্দ্র প্রধান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে কাপ্তাইয়ের জেলেরা কোনো মাছ অবতরণ করেননি। কী কারণে জেলেরা মাছ ধরা হতে বিরত রয়েছে তা জানি না।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘সকালে মৎস্য ব্যবসায়ীরা বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছে। কিন্তু বিষয়টা আমার এখতিয়ারে নাই। কয়েকটা বোট জেটি ঘাটে মাছ নিয়ে অবতরণ করেছে বলে জানতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, কাপ্তাই লেকে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ হতে মৎস্য ধরা ও বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ৩১ আগস্ট মধ্য রাত হতে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা এবং ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা হতে কাপ্তাই মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছ বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল।