গত কয়েকদিন ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। একই সাথে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিহ্নও চোখে পড়তে শুরু করেছে।
এদিকে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) গোমতী নদীর পানি স্বাভাবিক উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গোমতী নদীর বুরবুড়িয়ায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়েও পানি ঢোকা কমেছে। ফলে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পানি কমে বন্যা পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে।
এ ছাড়া কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বন্যার পানি কমে পরিস্থিতির আরও উন্নত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ২২৫টি মেডিক্যাল টিম এসব অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে ৩৯ লাখ নগদ টাকা ও ৮০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলায় ১৬শ’ টন চাল, নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে কুমিল্লায় পর্যাপ্ত ত্রাণ এসেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণগুলো দুর্গতদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন।