লক্ষ্মীপুরে ধীরগতিতে কমছে বন্যার পানি। বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি কিছুটা নামলেও বাসাবাড়ি এখনো তলিয়ে রয়েছে পানির নিছে। বন্যার পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। খাদ্য সংকটসহ নানা ভোগান্তির সঙ্গে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগবালাই। দূষিত পানিতে বাসিন্দারা ডায়রিয়া, খোসপাঁচড়াসহ নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও বন্যার পানিতে চলাচল করায় পায়ের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দিয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্যার পানি জমে থাকায় তা দূষিত হয়ে পড়েছে। এসব দূষিত পানি লাগলেই চুলকানি শুরু হয়। এলাকায় প্রায় বেশির ভাগ লোকজনের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। কারো চুলকানি, কারো পায়ের তলা বা আঙুলের ফাঁকে ক্ষত। এ মুহূর্তে ত্রাণের পাশাপাশি চর্মরোগের ওষুধ প্রয়োজন। পানিবন্দি অনেকেই দূষিত পানি মাড়িয়ে দূরদূরান্তে গিয়ে ওষুধ আনতে পারেন না বলেও অনেকে অভিযোগ।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নে উত্তর দূর্গাপুর, যাদৈয়া ও মোহাম্মদনগরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার পেলেও কেউ চর্মরোগের ওষুধ পাননি।
মান্দারীর দূর্গাপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা লাইলী বেগম বলেন, বন্যায় আমার ঘরের ভেতরে পানি উঠেছে। কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঘরের কাদা-পানি পায়ে লাগতে লাগতে পায়ের নীচে ও আঙুলের ফাঁকে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন আহমেদ কবির বলেন, জেলায় আমাদের ৬৪টি মেডিক্যাল টিম আছে। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে এবং স্বেচ্ছাসেবীরা টিম করে বন্যাকবলিত এলাকায় ক্যাম্পেইন করে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।