ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল জয়ের বাবা রনজিৎ কুমার পাল বলেছেন, ‘সেদিনের ঘটনার সময় বন্ধুর চিকিৎসার জন্য সে (সঞ্জয় পাল) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায়। সেখানে ছাত্ররা হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় নিজের ‘পাল জয়’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করে সে। সেখানে চিকিৎসকদের ওপর হামলার সঙ্গে আমার ছেলে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়। শুধু মাত্র ফেসবুক পেজে একটি লাইভ দেওয়ার কারণেই তাকে আসামি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে হামলা: গাইবান্ধায় গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জয় পাল জয়কে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিইউবিটির শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল শহরের আদর্শ পাড়ার রনজিৎ কুমার পালের ছেলে এবং ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দেখতে হবে ঢামেকে হামলায় কারা জড়িত: ড্যাব
রনজিৎ কুমার পাল বলেন, ‘আমার ছেলে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এজাহারে নাকি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় লেখা রয়েছে। এজাহারের কপি পাইনি। কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এজাহারে কপি পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
গ্রেপ্তারকৃত সঞ্জয় পাল জয়
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলার ঘটনায় সঞ্জয় পাল একজন এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে চলছে সেবা, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিউবিটি) শিক্ষক শাহরিয়ার অর্ণবসহ চার জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে তিন নম্বর আসামি হলেন গাইবান্ধার সঞ্জয় পাল জয়। অপর দুই আসামি হলেন সিহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন। এছাড়া মামলায় নাম না জানা আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।