সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী জহুর আলীর ভাই মো. হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে বিচারক নির্জন মিত্রের আদালতে আবেদনটি করেন।
বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন। বাদী হাফিজ আহমদ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সাংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সাবেক সাংসদ সদস্য রনজিত সরকার, সুনামগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন চন্দ, সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক পলিন বখত, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর দে, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন, স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপুসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ও সাবেক সাংসদ সদস্যদের নির্দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, সাউন্ড গ্রেনেডসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হুকুমে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ হামলাটি করে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আজ দুপুরে আহত জহুর আলীর ভাই মো. হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য রাখেন।
মামলায় বাদী পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হক জানান, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থী, আইনজীবীসহ সাধারণ জনতার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হামলায় আহতরা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত ন্যায় বিচার করবেন।