রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বহির্বিভাগের পাশের একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীরা এসে ১০-১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালটির বিদ্যুৎসেবা বিচ্ছিন্ন ছিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আখতারুজ্জামান।
প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিচ তলায় মেডিসিন বিভাগের বহির্বিভাগের একটি রুমে আগুন লাগে। এসময় পুরো হাসপাতালে আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাসপাতালের টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীরা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার ব্যবহার করে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হাসপাতালে আসে। তারা আসার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন কর্মচারীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা তাজহাট এলাকার এক রোগীর স্বজন মনিরুজ্জামান বলেন, সকালে মেডিসিন বিভাগের নিচতলায় আগুন আগুন চিৎকার শুনে আমরা হাসপাতালের বাইরে বের হয়ে আসি। সেখানে এসে দেখি রুমটি থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতলে বিদ্যুৎ ছিল না। সে সময় জেনারেটর দিয়ে বৈদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও লো ভোল্টেজে বৈদ্যুতিক পাখাগুলোর স্পিড ছিল খুব কম।
হাসপাতালের কর্মচারী আব্দুর রহমান বলেন, ‘সকালে শর্ট সার্কিট থেকে বৈদ্যুতিক বোর্ডে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। হাসপাতালে বিদ্যুৎ কিছু সময়ের জন্য না থাকলেও বিকল্প ব্যবস্থা দিয়ে সেবা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে কারণে সমস্যা হয়নি।’
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মেডিসিন বহির্বিভাগের পাশের একটি কক্ষে দুটি বড় বৈদ্যুতিক বোর্ড ছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ একটি বোর্ডে আগুন লাগার খবর শুনি। অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন মেডিক্যালের টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীরা। এ ঘটনায় আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছিলাম। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আগুন নিভে যায়।’
বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালের একটি লাইনে দেড় থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। অপর লাইন সচল ছিলো। সে সময়ে জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা হয়েছিলো। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে বৈদ্যুতিক লাইনগুলো সচল করে। দুপুর ২টার মধ্যে সব বৈদ্যুতিক লাইন সচল হয়েছে।’