দেহঘড়ি

যেভাবে মানুষের মস্তিষ্কে প্লাস্টিক জমা হচ্ছে

দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে। এদিকে পাল্লা দিয়ে মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা। 

গবেষকরা বলেন, মানুষের শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না। এই উপাদান খাবারের মতো বাহ্যিক উপাদান থেকে গ্রহণ করে। এদিকে প্লাস্টিক ফ্যাট বা লিপিড পছন্দ করে। মানুষ খাবারের মাধ্যমে যে ফ্যাট গ্রহণ করে সেগুলোর সঙ্গে ন্যানো প্লাস্টিক মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে তা মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে পৌঁছে যায়। 

সি এনএন-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে কয়েকজন মানুষের শরীর ময়নাতদন্তের সময় সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। 

গবেষকরা জানিয়েছেন, বিগত আট বছর আগেও মানুষের মস্তিষ্কে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গিয়েছিল, যা পরিমাণে কম ছিল। বর্তমানে যা পাওয়া যাচ্ছে তার পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে।

যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন বলেন, ‘৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের এক গ্রাম টিস্যুতে ৪ হাজার ৮০০ মাইক্রোগ্রাম (১ গ্রাম সমান ১০ লাখ মাইক্রোগ্রাম) প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে।যা মস্তিষ্কের মোট ওজনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের সমান।

এর আগে, ২০১৬ সালে মানুষের মস্তিষ্কে যে পরিমাণ প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল, ২০২৪ সালে তা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এর অর্থ আজকের দিনে আমাদের মস্তিষ্ক ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ আর বাকিটা প্লাস্টিক।

গবেষকরা এখন পর্যন্ত জানতে পারেননি যে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা মানুষের শরীরে ঢুকে কীভাবে এবং কি পরিমাণ ক্ষতি করতে সমর্থ হচ্ছে। 

তবে গবেষকরা এ বিষয়ে বলেছেন, এক একটি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা মানুষের শরীরে হাজারো রকমের রাসায়নিক নিয়ে প্রবেশ করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।