পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট জয়ের পর মুশফিকুর রহিম তাদের সামনে এনেছিলেন। স্থানীয় দুই কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও সোহেল ইসলাম কিভাবে তাদের দুই মাসের ক্যাম্পে প্রস্তুত করেছিলেন। পাকিস্তানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বিসিবি টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ এবং দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের ব্যস্ত রাখার বন্দোবস্ত করছিল। বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন শিবিরে মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ থেকে শুরু করে জায়গা হয় নাহিদ রানার মতো তরুণদেরও।
দুই মাসের সেই অনুশীলন শিবিরে নীরবে টেস্টের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তারা। তাদের তৈরি করেছিলেন স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাবুল, তারেক আজিজরা। টেস্টের বাংলাদেশ একাদশের ছয়জনই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন না। পরে এসে টাইগার্সের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া হাসান মাহমুদ থাকলেও মূল স্কোয়াডের অংশ ছিলেন না। তাদের নিয়েই চলে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প।
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর সিরিজ সেরা নির্বাচিত হওয়া মিরাজ এই ক্যাম্পের কথা বলেছেন। অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় কোচদের কৃতিত্ব দিয়েছেন। তবে কোচ সোহেল ইসলাম পারফর্ম্যান্সের জন্য ছেলেদেরই ক্রেডিট দিতে চান।
মিরপুরে বুধবার তিনি বলেছেন, ‘এই যে আমরা জিতেছি, পুরো ক্রেডিটটা আসলে ক্রিকেটারদের দিতে চাই। সব সময়ই এসব ট্রেনিং হয়, তবে এবার ছেলেদের মধ্যে ভালো করার তাগিদ ছিল। তারা খুবই বেশি সম্পৃক্ত ছিল। ক্রিকেটাররা সবাই চেয়েছে এবং মুশফিকও চেয়েছে তারা যে জায়গায় আছে, সেখান থেকে কীভাবে আসলে আরও ভালো করা যেতে পারে। যখন অনুশীলনের মধ্যে সবাই সম্পৃক্ত থাকে, তখন আসলে ভালো কিছু হওয়ার থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্টে যার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।’
‘দেখেন আমি তো বোর্ডে অনেক দিন ধরে চাকরি করি। আমাদের যেটা কাজ, ওটার মধ্যেই থাকার চেষ্টা করি। ক্রেডিট কে দেবে না দেবে, সেটা তো আমার হাতে নেই। আমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে যা আছে, সেটা করার চেষ্টা করি।’ – যোগ করেন সোহেল ইসলাম।
এই ক্যাম্পের পেছনের গল্পও ভাগাভাগি করেছেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের সময় হাথুরুসিংহে আমাদের একটা প্রস্তুতির নকশা দিয়েছিল। সেই নকশা সংশোধন করে ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাগ ভাগ করে প্রথমে সিলেট পরে চট্টগ্রামে, সবশেষ ঢাকায় প্রস্তুতি ক্যাম্প করি। আমাদের ক্রিকেটারদের শেখার ইচ্ছা প্রবল। তারাই অনুশীলনের মধ্য থেকে আমার কাছে নিজেদের টেকনিক্যাল ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে। আমি সমাধানের চেষ্টা করেছি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কাজ করেছি। লাল বলে ওপেনারদের নিয়ে কাজ করেছি, গ্রানাইটে বল খেলিয়েছি।’
সোহেল ইসলামদের আবারও ডাক পড়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার। বুধবার থেকে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। সামনে ভারতে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই ক্যাম্প নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আজ ১২ জন ক্রিকেটার নিয়ে সাদা বলে প্রস্তুতি শুরু করেছি। প্রথম দিনে কয়েকজন ক্রিকেটার অনুপস্থিত ছিল। তবে কালও কয়েকজন যোগ দেবেন। ফিটনেস ও স্কিল- এ দুটো দিক নিয়েই কাজ করছি। আশা করছি, এবারের প্রস্তুতিও ক্রিকেটারদের জন্য সিরিজ সহায়ক হবে।’