মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করায় এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উৎসব মন্ডল (১৮) নামে ওই যুবককে জনতা গণপিটুনি দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গণপিটুনিতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ফলে তার মৃত্যু নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ওই যুবককে বিক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দেয়। তবে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি জীবিত আছে- সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ সেনা সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে তাকে নিয়ে যায়।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খুলনার আযমখান সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র উৎসব মন্ডল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করে। সন্ধ্যায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে ধরে নিয়ে খুলনার মেট্রোপলিটনের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলামের কার্যালয় নিয়ে আসে। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।
আযম খান কমার্স কলেজের ছাত্র আরিফ বলেন, ‘ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে, এতো সাহস কোথায় পায়? যে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করে। ওকে আমি আগে সাবধান করছি। ও আমার কথা শুনেনি।’
সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্র রুহুল আমিন বলেন, ‘সে যে ভাষায় গালিগালাজ করেছে, মানুষ মানুষকেও এ ভাষায় গালিগালাজ করে না।’
এ সময় টহলে আসা সেনা কর্মকর্তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলাম। তবে উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়।’
স্থানীয় লোকজন জানান, কলেজছাত্র উৎসব মন্ডল মহানবীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তি করেন। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে খুঁজে বের করে নগরীর সোনাডাঙ্গায় ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের (সাউথ) কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েশক লোক গিয়ে ওই কার্যালয় ঘেরাও করেন এবং বিক্ষোভ করেন। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্ত করেন।